মঙ্গলবার, নভেম্বর ৪, ২০২৫

মৌ সাহার দু’টি কবিতা

(০১)
নক্ষত্রময়

অবশেষে আমিও ঘুমের মধ্যে অজস্রবার-
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে গিয়ে ফিরে আসি।
হয়তো কুয়াশার অস্পষ্টতাকে অস্পষ্ট করতে-
হয়তোবা শিশিরকে ধুয়ে মুছে ধুলোধরা-
পাতাকে আবারো সবুজ করতে!

অবশেষে আমিও ঘুমের মধ্যে অজস্রবার-
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে গিয়ে ফিরে আসি।
হয়তো শরতের শিউলি ছোঁবো বলে-
হয়তোবা একগুচ্ছ কাশ কিংবা সাদা মেঘে চোখ ডুবাবো বলে।

অবশেষে আমিও ঘুমের মধ্যে অজস্রবার-
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে গিয়ে ফিরে আসি।
হয়তো শাওনের মেঘলা আকাশ দেখবো বলে-
হয়তো বা সংবর্তকে সংবর্তিত হতে দেখবো বলে!

নক্ষত্রময়!
প্রকৃতি তো তোমার চোখেও দেখা যেত।
চৈত্রের দুপুরগুলোতে-
তুমি দেখে দেখে বলতে-আমার মৃত-বিষন্ন মস্তিষ্ককে!
তোমার বর্ণনায় ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুই বেশ সুস্পষ্ট-
শুধুমাত্র তোমার নক্ষত্রময় চোখজোড়া ছাড়া!
এর বর্ণনা দিতেই হয়তোবা-
এই অ-মৃত্যুময় ব্রাহ্মমুহূর্তে বসবাস!

 

(০২)
বিধুর বিধু!

দরজার ওপাড়ে,
নির্ঘুম একরাত কাটিয়ে-
পাশবালিশে মুখ ডুবোনো।
ভয় নেই শক্তিবাবুর মতন বলবো না-
“যেতে পারি, কিন্তু কেন যাবো?”
অপরাজিতাটি ডায়েরিতে গুঁজে দিলেম!
কেন জানো?- এরা পরাজিত হয় না-
সবসময় সবুজে ঘেরা সুনীল হাসি হাসে!
অনেকটা তোমার মতন!
যদি কত বছর পর ডায়েরিতে গোঁজা অপরাজিতাটি পাও-
তবে এর মতন বির্বণ হাসি হেসো না যেন!
তুৃমি সব সময় রঙিন থেকো!-
হেসে খেলে শব্দ তরঙ্গ সুরে খেলো!
তোমার হৃৎস্পন্দন জানুক এই প্রস্থানকাল!

লেখক পরিচিতি

মৌ সাহা
মৌ সাহা
প্রকৃতিপ্রেমী মৌ সাহার জন্ম ০৩ ফেব্রুয়ারি মাগুরায়। পিতা: মনোরঞ্জন সাহা, মাতা: পপি সাহা। কুয়েট থেকে বি এস সি ইঞ্জিনিয়ারিং ইন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং শেষ করে বর্তমানে বসবাস করছেন লালনের শহর কুষ্টিয়ায় ৷ তিনি প্রকৃতির ছবি তুলতে আর লিখতে ভালোবাসেন ৷

আরও লেখা

spot_img

সাম্প্রতিক লেখা