(০১)
নক্ষত্রময়
অবশেষে আমিও ঘুমের মধ্যে অজস্রবার-
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে গিয়ে ফিরে আসি।
হয়তো কুয়াশার অস্পষ্টতাকে অস্পষ্ট করতে-
হয়তোবা শিশিরকে ধুয়ে মুছে ধুলোধরা-
পাতাকে আবারো সবুজ করতে!
অবশেষে আমিও ঘুমের মধ্যে অজস্রবার-
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে গিয়ে ফিরে আসি।
হয়তো শরতের শিউলি ছোঁবো বলে-
হয়তোবা একগুচ্ছ কাশ কিংবা সাদা মেঘে চোখ ডুবাবো বলে।
অবশেষে আমিও ঘুমের মধ্যে অজস্রবার-
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে গিয়ে ফিরে আসি।
হয়তো শাওনের মেঘলা আকাশ দেখবো বলে-
হয়তো বা সংবর্তকে সংবর্তিত হতে দেখবো বলে!
নক্ষত্রময়!
প্রকৃতি তো তোমার চোখেও দেখা যেত।
চৈত্রের দুপুরগুলোতে-
তুমি দেখে দেখে বলতে-আমার মৃত-বিষন্ন মস্তিষ্ককে!
তোমার বর্ণনায় ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুই বেশ সুস্পষ্ট-
শুধুমাত্র তোমার নক্ষত্রময় চোখজোড়া ছাড়া!
এর বর্ণনা দিতেই হয়তোবা-
এই অ-মৃত্যুময় ব্রাহ্মমুহূর্তে বসবাস!
(০২)
বিধুর বিধু!
দরজার ওপাড়ে,
নির্ঘুম একরাত কাটিয়ে-
পাশবালিশে মুখ ডুবোনো।
ভয় নেই শক্তিবাবুর মতন বলবো না-
“যেতে পারি, কিন্তু কেন যাবো?”
অপরাজিতাটি ডায়েরিতে গুঁজে দিলেম!
কেন জানো?- এরা পরাজিত হয় না-
সবসময় সবুজে ঘেরা সুনীল হাসি হাসে!
অনেকটা তোমার মতন!
যদি কত বছর পর ডায়েরিতে গোঁজা অপরাজিতাটি পাও-
তবে এর মতন বির্বণ হাসি হেসো না যেন!
তুৃমি সব সময় রঙিন থেকো!-
হেসে খেলে শব্দ তরঙ্গ সুরে খেলো!
তোমার হৃৎস্পন্দন জানুক এই প্রস্থানকাল!


